,

ফিরতি ট্রেনেরও সিডিউল বিপর্যয়

বিডিনিউজ ১০ ডেস্কঈদ শেষে এবার ফিরতি ট্রেনও বিলম্বে চলাচল করছে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা রাজধানীমুখী অধিকাংশ ট্রেনই সিডিউল বিপর্যয়ে পড়ছে। বিলম্বে আসা এবং বিলম্বে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। ঈদের আগে কোনো কোনো ট্রেন দেড় ঘণ্টা থেকে ১৩ ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করেছে। ঈদের পর ফিরতি ট্রেনগুলোও বিলম্বে চলাচল করছে।

শনিবারও ফিরতি ট্রেন ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে চলাচল করেছে। ঈদের ছুটি শেষে বুধবার থেকে অফিস খুলেছে। বৃহস্পতিবার থেকে আবারও টানা তিনদিন ছুটি শেষে রোববার অফিস খুলছে।

শনিবার কমলাপুর স্টেশনে আসা প্রতিটি ট্রেনেই উপচেপড়া ভিড় ছিল। অধিকাংশ ট্রেনের ছাদ, ইঞ্জিন, দুই বগির সংযোগস্থলে ছিল রাজধানীমুখী মানুষ।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েল যুগান্তরকে বলেন, অনেক ট্রেন বিলম্বে কমলাপুর স্টেশনে আসছে। বিলম্বে আসা ট্রেনগুলো বিলম্বেই ছাড়তে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। তবে ঈদের আগে ও পরে ট্রেন বিলম্বে চলাচল করাটা স্বাভাবিক। প্রতিটি ট্রেনই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। ঈদ শেষে প্রতিটি ট্রেনেই উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলে চলা প্রতিটি ট্রেনই বিলম্বে চলাচল করছে। ৪০ মিনিট থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে চলছে ট্রেন।

তিনি বলেন, যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে ট্রেন ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। তাছাড়া ২/৩ মিনিট বিরতির স্থলে ১০/১২ মিনিট পর্যন্ত বিরতি দিতে হচ্ছে এক একটি স্টেশনে।

শনিবার কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ট্রেনই বিলম্বে চলাচল করে। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ৫টি ট্রেন ৪০ মিনিট থেকে আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে চলেছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর থেকে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাড়ে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে কমলাপুরে আসে। সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ধুমকেতু এক্সপ্রেস, কিন্তু ট্রেনটি এসেছে ৫ ঘণ্টা বিলম্বে।

এ ছাড়া একতা, অগ্নিবীণা, সিল্কসিটি, এগারসিন্ধুর, রংপুর এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস দেড় ঘণ্টা থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে।

রেলপথে ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নিয়ে নানা ভোগান্তি ছিল। ঈদের আগে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন পরের দিনও ছেড়ে গেছে। ১২-১৫ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন চলায় অনেক যাত্রী টিকিট ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ টাকাও নিয়ে গেছেন। কেউ আবার ১৭-১৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়িতে গেছেন।

এ দিকে যারা ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি তাদের অনেকেই ঈদের পরে বাড়ি যাচ্ছেন ট্রেনে করে। ঈদের ৫ম দিনও কমলাপুর থেকে গ্রামে যেতে দেখা গেছে শত শত লোকজনকে। ভোগান্তি থেকে বাঁচতে যারা ঈদের পরে বাড়ি যেতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাদেরও দুর্ভোগ ছাড়েনি। শনিবার বিভিন্ন ট্রেনের জন্য শত শত যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা থাকতে দেখা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর